মানুষ কিভাবে বুঝতে পারবে যে, তার অন্তর রোগাক্রান্ত? 

০১। প্রথম নিদর্শন হল, মানুষ যখন নশ্বর বস্তুকে অবিনশ্বর বস্তুর উপর প্রাধন্য দিতে থাকবে। তখন বুঝতে হবে আমার অন্তর রোগাক্রান্ত হয়ে গেছে। যেমন দুনিয়ার ঘর-বাড়ী ভালো লাগে, কিন্তু মৃত্যূর পরে কি হবে সেটা ভাবার সময় নাই। দুনিয়ার মধ্যে অর্থ সম্পদ, আত্ম সম্মান পাওয়ার আশায় ব্যস্ত কিন্তু মৃত্যূর পরে এ গুলো কি কাজে লাগবে সেটা নিয়ে বিন্দুমাত্র চিন্তা ভাবনা নাই। দুনিয়ার আরাম আয়েশ প্রত্যাশি  কিন্তু মৃত্যূর পরের আযাব নিয়ে কোন মাথা ব্যাথা নেই। 

০২। দ্বিতীয় নিদর্শন হলে, মানুষ কান্নাকাটি বন্ধ করে দিবে। চোখের পানি বের হবে না। তখন বুঝতে হবে আমার অন্তর কঠিন হয়ে গেছে। কখনো কখনো মানুষের চোখ কাদে কখনো মানুষের হৃদয় কাদে হৃদয়ে কান্না চোখের কান্নার চেয়ে শ্রেয়। 

০৩। তৃতীয় নিদর্শন হল, দুনিয়ার সৃষ্টির প্রেমে পড়ে দুনিয়ার মোহে দিশেহারা হয়ে যাবে। অথচ যে মহান সৃষ্টিকর্তা এই দুনিয়া সৃষ্টি করেছেন তাকে বেমালুম ভুলে যাবে। তখন বুঝে নিতে হবে আমার অন্তরে মৃত্যূ হয়েছে। মানুষ পরস্পরের সংগে সম্পর্ক হলে তাকে দেখার আকুতি মনে মধ্যে সৃষ্টি হয়, সঙ্গ পাওয়া জন্য হৃদয় কাদে, তার বিরহে উদাস হয়, তার অপেক্ষা করতে থাকে, কিন্তু আল্লাহর সাথে স্বাক্ষাতের কথা তাদের মনে জাগ্রত হয় না। 

০৪। চতুর্থ নিদর্শন হল, মানুষ যখন নির্মম হয়ে যায়, মানুষের মধ্যে যখন অনুসোচনা থাকে না, বিবেক হাড়িয়ে যায়। যেমন কোন মানুষ হত্যা করতে হৃদয় কাপে না। মানুষ কে কষ্ট দিতে দিতে অন্তর কাপে না। মানুষের দুঃখ কষ্টে যে আনন্দ পায়। মানুষেরর ক্ষতি করতে আনন্দ পায়। ঘুষ, দুর্নীতি, অপশাষন, ক্ষমতার অপব্যবহার করে তখন বুঝতে হবে মানুষের অন্তর একেবারেই রোগাক্রান্ত হয়ে গেছে। 

মহান সৃষ্টি কর্তা আমাদের সবাইকে ব্যাধিগ্রস্ত অন্তর থেকে পানাহা দান করুন। প্রত্যেক এর অন্তর সুস্থ্য রাখার তওফিক দান করুন। আমিন।